top of page

“ছড়িয়ে দাও তোমার স্বপ্ন!”

  • Writer: Admin
    Admin
  • Jan 8, 2023
  • 7 min read

আমি যে মুভমেন্টে কাজ করি, তা এই বছর শতবর্ষ জুবিলী উদযাপন করেছে। 22 জুলাই 2022-এর একটি চিঠিতে পূণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস তরুণদের উদ্দেশ্যে খুব সুন্দর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের সমাজ পরিবর্তনের প্রতিনিধি ও একই সাথে ন্যায়বিচার, শান্তি ও সংহতির মূল্যবোধের প্রসারে কাজ করার জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তার পত্রে বিশ্বে ও মন্ডলীতে পাক্স রোমানার অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি তার চিঠিতে উল্লেখ্যে করেন "বিগত শতাব্দীতে, পাক্স রোমানা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং তরুণ পেশাদারদের তাদের বিশ্বাসে বৃদ্ধি পেতে, প্রসারে এবং বাইবেলের আলোকে ন্যায়বিচার, শান্তি এবং সংহতির মূল্যবোধের জন্য কাজ করতে সক্ষম হয়েছে।আমি তোমাদের সামাজিক পরিবর্তনের প্রতিনিধি হতে এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমন্বয়পূর্ণ এবং টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য তোমার প্রচেষ্টায় অবিচল থাকার জন্য উৎসাহিত করছি। সামনের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত থাকো, একই সাথে সময়ের লক্ষণগুলিতে মনোযোগী হও এবং দরিদ্র, অবহেলিত এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হও।"


পোপ অত্যন্ত ব্যক্তিত্বপূর্ণ এবং সহানুভূতিশীল ছিলেন যখন তিনি তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছিলেন: “প্রিয় তরুণ বন্ধুরা, তোমার জীবনের এই পর্যায়ে, তোমার সামনে অনেক শক্তি এবং সম্ভাবনা ও পছন্দের আধিক্য রয়েছে। তবুও, যদিও তোমার অনেক ইচ্ছা এবং আগ্রহ থাকে যা তুমি অন্বেষণ করতে চাও, তোমরা সবাই এমন এক পরিবেশে বাস করো না যা সহজেই তোমার স্বপ্নগুলিকে অনুসরণ করতে সাহায্য করে বা যা তোমাকে বিশ্বাসে বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে। বিশ্বাসের জীবনে, পুণ্য অর্জনে ও এগিয়ে যেতে একে অপরকে সহযোগিতা ও সমর্থন করো। ব্যাপক বৈষম্যের এই বিশ্বে, তুমি বিশ্বের অনেক অংশের (অন্য অঞ্চলের) তোমার সহকর্মী শিক্ষার্থীদের এবং সহকর্মীদের সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে যাদের স্বপ্ন যুদ্ধ, অবিচার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত সংকট দ্বারা ভেঙে গেছে। তাদের তোমার প্রার্থনায় রেখো এবং তাদের সমর্থন ও সংহতির জন্যে কাজ করো।" প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের স্বপ্নবাজ তরুণরা একত্রিত হয়ে একটি ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব দেখার স্বপ্ন বুনেছিলো। শত বছর আগের সেই স্বপ্নটির চাওয়া এখনও অধরাই রয়ে গেছে। তবুও আমাদের তরুণরা থেমে নেই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেই ধারা অব্যহত রেখেছে।




১. সমাজ, মন্ডলী ও দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্যে স্বপ্নবাজ ও তরুণদের বড্ড প্রয়োজন। অন্যকে নেতৃত্ব দেবার আগে নিজেকে জানার চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে জানতে হবে। সক্রেটিস বলেছিলেন "নিজেকে জানো"। এরিস্টটল বলেছিলেন "নিজেকে জানাই সমস্ত জ্ঞানের শুরু।" একজন ভালো নেতার সবার কথায় শুনতে হয়। শোনার ধৈর্য্য থাকতে হয়। একজন ভালো নেতা, ভালো শ্রোতাও বটে! কেননা উনাকে সবার কথা শুনতে হয়। নেতাকে জ্ঞানীও হতে হয়। তবে লোক দেখানো জ্ঞানী অবশ্যই নই। সত্যিকারের জ্ঞানীরা হয় ফলদায়ী বৃক্ষের মত। ফলবান বৃক্ষ সবর্দায় নুয়ে থাকে। আমাদের সমাজে সেই সব নেতাদেরই প্রয়োজন, যারা চেয়ার খুঁজে না বরং চেয়ার তাদের খুঁজে তাদের কাছে চলে আসে।বিখ্যাত অ্যাপল প্রতিষ্ঠানের সিইও স্টিভ জবস বলেছিলেন "ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো"। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়।আপনারা নিশ্চয়ই একটি বিষয়ে লক্ষ করেছেন। বিশ্বের জনপ্রিয় নেতারা প্রায় সবাই বই পড়েন; তা তিনি রাজনৈতিক নেতা হোন আর ব্যবসায়ী নেতা হোন। বারাক ওবামা সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দু–চার দিন পরপরই টুইটারে নিজের পড়া বই নিয়ে টুইট করেন। তিনি বইটির ভালো লাগা, মন্দ লাগা নিয়ে লেখেন। এছাড়াও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, প্রতিদিনই বই পড়েন এবং সেসব বই নিয়ে তার নিজের ওয়েবসাইট গেটস নোটসে নিয়মিত লেখেন। আরেক ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট ও প্রযুক্তি বিশ্বের তরুণতর নেতা মার্ক জাকারবার্গও নিয়মিত বই পড়েন।


অনেক সময়ই তরুণ তরুণীরা আমাকে তাদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে সহভাগিতা করতে মেসেজ বা ফোন করে। তাদের সাথে সহভাগিতা করার পর কিছু বিষয়গুলো সত্যিই আমাকে খুব অবাক করে। আজকাল আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরণের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় (যদিও সবাই করে না)। আরেকটি বিষয় হল অন্যদের সাথে নিজেদের সন্তানকে "তুলনা" করা। অভিভাবকদের বলবো, দয়া করে আপনার সন্তাকে অন্যদের সাথে তুলনা করবেন না। বরং তাকে উৎসাহিত করুন। কেননা আপনার সন্তান সবার থেকে আলাদা। সবার মধ্যে একই গুণ থাকে না। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার স্বপ্ন আপনার সন্তানের উপর চাপিয়ে দিবেন না। আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে আপনার সন্তান যেন তার নিজের "সত্ত্বা"কে হারিয়ে না ফেলে।

তরুণদের বলবো, আপনারা অন্যদের সাথে নিজেদের তুলনা করবেন না। এতে বরং আপনি এতে কষ্টই পাবেন। বরং যেটা আপনি করতে পারেন সেটা হল, অন্যদের কাজ থেকে নতুন কিছু শেখা, নিজের ভুলটা খুঁজে বের করা এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে আগামীর জন্য প্রস্তুত করা। অকারণে অন্যদের সাথে তুলনা করা নিজেদের উৎসাহ কমানো ছাড়া আর কোনো কাজেই আসে না। নিজেকে কোনদিন অক্ষম বা ব্যর্থ ভাববেন না। বরং সেটা থেকে শিক্ষা নিবেন। নতুন করে এগিয়ে যাবার শক্তি সঞ্চার করবেন। Shannon L. Alder বলেছেন "“Personality begins where comparison leaves off. Be unique. Be memorable. Be confident. Be proud.”


2. ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম বলেছেন “স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখো। স্বপ্ন হলো সেটাই যা পূরণের অদম্য ইচ্ছা তোমায় ঘুমোতে দেবে না।" প্রত্যেক মানুষই স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। সেটাই স্বাভাবিক। স্বপ্ন অবশ্যই দেখতে হবে। তবে সেটা যেন অবাস্তব বা সাধ্যের বাইরে না হয়। কেননা অনেকেই আমরা শুধু ঘুমিয়েই স্বপ্ন দেখি কিন্তু সেটা বাস্তবে রুপ দিতে পরিশ্রম করতে প্রস্তুত নই। অনেকেই বিনা পরিশ্রমে বড় হতে চায়, পদ পদবী চাই। সহজেই বড় হতে চায়। কিন্তু সেই বড় হতে যে কতগুলো সিড়ির ধাপ পেরোতে হয় সেটার জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করতে চাই না। সেই স্বপ্নই দেখতে হবে যা পূরণ করার আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা ও ক্ষমতা রয়েছে। নাহলে সেটার জন্যে শুধুমাত্র সময়ই নষ্ট করা হবে। আর কিছু নয়।


স্টিভ জবস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তার বক্তৃতায় বলেছেন, আমার বয়স যখন ১৭ ছিল, তখন আমি একটা উদ্ধৃতি পড়েছিলাম—‘তুুমি যদি প্রতিটি দিনকেই তোমার জীবনের শেষ দিন ভাব, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সত্যিই সঠিক হবে।’ “মরে তো একদিন যাবোই!” এই কথাটা মাথায় থাকলে জীবনের কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নেওয়াও একদম জলের মত সহজ হয়ে যায়।আমরা আসলে জীবনটাকে অনেক জটিল করে তুলি। মৃত্যু তো একদিন আসবেই! আমি জেনেছি, কিছু হারানোর ভয়কে এড়ানোর সবচেয়ে ভালো পন্থা হলো, মনে রাখা– মৃত্যু খুব কাছেই। সুতরাং তোমাদের বিবেক যা বলবে সেটা অনুসরণ না করার কোনো কারণ নেই।…. তোমার সময় সীমিত। সুতরাং অন্য কারো জীবন অনুসরণ করে সময় নষ্ট করো না। প্রচলিত নীতিকথায় আটকে যেও না। কারণ ওই সব পুরনো কথাগুলো হচ্ছে অন্যসব ব্যক্তির চিন্তার ফসল। অন্যদের মতামতের আওয়াজ যেন তোমাকে ডুবিয়ে না দেয়। তুমি তোমার নিজের ভেতরের কথা শোনো।… তোমার জীবনের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকবে তোমার কাজ। সুতরাং সন্তুষ্ট হতে চাইলে তুমি যে কাজটায় বিশ্বাস করো, সেটাই করতে থাকো। সেই কাজটা যদি তুমি এখনো খুঁজে পেয়ে না থাকো, তাহলে খুঁজতে থাকো। তোমার হৃদয়ঘটিত অন্যসব কিছুর মতো। তোমার হৃদয়ই বলে দেবে সেই কাজটি যখন তুমি পাবে। সুতরাং খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাও। কখনো থেমে যেও না। নেভার কুইট (Never quit) বা কখনই হাল ছেড়ে দিও না।"


৩. জীবনে নিজের জন্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারাটা অনেক বড় ব্যাপার। আমি অনেক তরুণকে দেখেছি যে তারা তাদের জীবনের জন্যে আত্মবিশ্বাসের সাথে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ভয় পাই। দ্বিধায় থাকে। এমনকি অনেক সময় দেখেছি তারা নিজের জীবনের গুরুত্ত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেও অন্যদের ওপর নির্ভর থাকে। বাইবেলে সুন্দর একটি কথা আছে যে, He who liveth, he who beliveth, shall never die. অর্থাৎ যে বিশ্বাস করে সে-ই বেঁচে থাকে। বাইবেলে বলা হয়েছে, বিশ্বাস পাহাড়কেও টলাতে পারে। বিশ্বাস একটি অদ্ভূত শক্তি, এটা কোন ম্যাজিক বা অলৌকিক বিষয় নয়।সুতরাং, নিজের উপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখুন, আপনি পারবেন। একটা সময় পর্যন্ত মা বাবা অভিভাবকদের উপর নির্ভর করতে হয়। তবে জীবনের একটা পর্যায়ে এসে নিজেকেই সিদ্ধান্ত নেবার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। কেননা আপনার জীবনের জন্যে কোনটি সঠিক সিদ্ধান্ত তা আপনি ছাড়া কেউ ভালো নিতে পারবে না। কারণ আপনার চেয়ে কারোরই আপনার বিষয়ে ভালো জানার কথা না। আপনিই জানেন কোন বিষয়ে আপনি সবচাইতে বেশি ভালো করবেন।অন্যরা সেই বিষয়ে নাও জানতে পারে।আর আরেকটি বিষয় হল, আপনি যেভাবে আপনার জীবনকে আগামীর জন্যে দেখতে পাবেন, অন্যরা সেভাবে নাও দেখতে পারে। সেই জন্যেই কিছু কিছু বিষয়ে এখন থেকেই আপনাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার অভ্যাস করতে হবে। ভুল হলে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আবার চীনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বলেছেন "অভিজ্ঞতা সব সময় সঠিক পথ দেখায় না। জীবন বড় বিচিত্র। জীবনে চলার পথে বহুবার আমাদের মরীচিকার সামনে পরতে হয়। এর থেকে উত্তরন অসম্ভব। জীবন যেটা তোমাকে দিয়েছে, সেটা মেনে নিলে কষ্ট কম পাবে। তোমার অভিজ্ঞতা এবং বুদ্ধিমত্তা তুমি অবশ্যই কাজে লাগাবে, কিন্তু শেষ কথা জীবনই বলবে।"


গত কয়েকবছর যাবৎ অভিভাবকদের লক্ষ্য করছি। এসএসসি বা এইচএসসি এর রেজাল্টের পর অনেকেই রেজাল্ট কার্ড ফেইসবুকে দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এইটা তে আমি কোনো নেতিবাচক দিক দেখছি না। এইটা আনন্দেরই একটা বহিঃপ্রকাশ! তবে অন্যকে হেয় করে যদি নিজেকে সবচেয়ে মেধাবী মনে করে তবে তা খুব শংকার। আমাদের সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। টেকসই উন্নয়নের স্লোগানটি আমার খুবই পছন্দের। "Leave No One Behind" কাউকে পিছনে ফেলে নয়।


৪. প্রায় এক যুগ যাবৎ তরুণ তরুণীদের সাথে কাজ করছি। কিছু তরুণ তরুণীকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তারা ঠিকমত কাজ করতে না পারলে, খুব রাগ করতে দেখেছি। একবার একটি প্রশিক্ষণে একজন মেয়েকে জিজ্ঞেস করেছিলাম "তুমি কেন এত রেগে আছো? কোনো সমস্যা?" মেয়েটি উত্তর দিয়েছিলো "আমি এই কাজটি ঠিকমত করতে পারলাম না অথচ সে ঠিকই তা করে ফেলেছে। এইভেবে খুব রাগ হচ্ছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম " আসলে রাগটা কার উপর করছো? নিজের উপর নাকি সেই মেয়েটির উপর?" মেয়েটির সহজ উত্তর ছিলো "ওই মেয়েটির উপর"। আমি খুব করে হেসেছিলাম বলে মেয়েটি খুব অবাকই হয়েছিলো।


আমি তাকে বলেছিলাম "রাগটা যদি নিজের ওপর করতে, তাহলে খুব ভালো হত। ওই মেয়েটার ওপর রাগ করে তুমি তোমার মূলবান সময় নষ্ট করে ফেলছ। কারো অর্জনে কখনও হিংসে বা ইর্ষা করতে নেই। এইটা নিতান্তই দূর্বল মানুষের বহিঃপ্রকাশ। বরং তোমার বন্ধুটির কাছে গিয়ে তাকে অভিনন্দন জানাও। পারলে তাকে আরও ভালো করার জন্যে উৎসাহিত করো এবং একসাথে তা উদযাপন করো। কেননা সে তোমার চেয়ে পরিশ্রম বেশি করেছে বলেই সে কাজটি সফলভাবে করতে পেরেছে। বরং তুমি তার কাছ থেকে শিখতে বা জানতে পারতে। আমাদের জীবনে ভরা কলসীর মত আচরণ করলে হবে না। সবার কাছ থেকেই শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। আমি তাকে শেষে বলেছিলাম "বরং তুমি তোমার কাজে ভালোভাবে মনোযোগ দাও। আবারও চেষ্টা করো। তোমার বন্ধুটির কাছ থেকে জানার চেষ্টা করো যে সে কিভাবে এত তাড়াতাড়ি কাজটি করে ফেলেছে।কারো প্রতি হিংসে বা ইর্ষা করতে নেই। এতে করে আমাদের সুন্দর মনে উন্নত স্বপ্ন বা কল্পনা দেখতে বাধাগ্রস্ত হয়।


৫. আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি তার বক্তৃতায় বলেছিলেন “Ask not what your country can do for you, ask what you can do for your country.” আমি প্রায়ই আমার সহভাগিতায় জন এফ কেনেডির এই উক্তিটি সহভাগিতা করি। আমরা যদি এইভাবে বলি যে, আমার সমাজ, আমার মন্ডলী এবং আমার দেশ, আমার জন্যে কি দিয়েছে সেটা বড় প্রশ্ন নয়। বরং আমি আমার আমার সমাজ, আমার মন্ডলী এবং আমার দেশের জন্যে কি দিয়েছি সেটিই বড় প্রশ্ন হওয়া উচিৎ। বর্তমান সময়টা বড্ড প্রতিযোগিতার। অনেকেই অল্পতেই হতাশ হয়ে যায়। জীবনে হতাশা আসবে, না পাওয়ার অনেক কষ্ট বেদনা ও হাহাকার থাকবে। তারপরও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। রবি ঠাকুর বলেছিলেন "যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই/যাহা পাই তাহা চাই না।"


পাওয়া না পাওয়া নিয়েই জীবন। তারপরও জীবনটাকে উপভোগ করতে হবে। সুন্দর করে তুলতে হবে। কবীর সুমন এর একটি গান আছে,''হাল ছেড়ো না বন্ধু…বন্ধু তোমার ভালোবাসার স্বপ্নটাকে রেখো/বেঁচে নেবার স্বপ্নটাকে/জাপটে ধরে থেকো। দিন বদলের স্বপ্নটাকে/হারিয়ে ফেলো না/পালটে দেয়ার স্বপ্ন আমার/এখনো গেল না-হাল ছেড়ো না।'' প্রতুল মুখোপাধ্যায় এর আরেকটি অসাধারণ গান রয়েছে- ''আলু বেঁচো, ছোলা বেঁচো, বেঁচো বাখর খানি/বেঁচোনা বেঁচোনা বন্ধু তোমার চোখের মণি। কলা বেঁচো, কয়লা বেঁচো, বেঁচো মটরদানা/বুকের জ্বালা বুকেই জ্বলুক, কান্না বেঁচোনা। ঝিঙে বেঁচো পাঁচ সিকেতে, হাজার টাকায় সোনা বন্ধু তোমার লাল টুকটুকে স্বপ্ন বেঁচোনা।''


স্টিভ জবস ২০০৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আমাদের জীবনটা কত ছোট, কত মূল্যবান! সারা পৃথিবী ঘেঁটে তোমার মত ঠিক আরেকটা তুমি কোথাও খুঁজে পাবে না! এই জীবনটা অন্যদের মত হতে চেয়ে কেন নষ্ট করবে! লোকে কি বললো, কি ভাবলো সেটা নিয়ে ভাবার কোন মানে হয়? এই যে তোমার বুকের ভেতর একটা স্বপ্নের বীজ, সেটাকে বাড়তে দাও। ডালপালা মেলতে দাও। ছড়িয়ে দাও তোমার স্বপ্ন!



 
 
 
S__58408971_0.jpg

About Me

"Committed to empowering youth, advocating for the rights of indigenous peoples and environmental justice, driving social transformation...,"

Follow me 

  • Facebook
  • Instagram
  • Twitter

Join My Mailing List

Thanks for submitting!

© 2023-2024  by ©wnokrek

bottom of page